বাংলাদেশ থেকে এবার ১২০০ টন ইলিশ ভারতে, বাজারে চাপ বাড়ার ইঙ্গিত

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫ সময়ঃ ১২:৫৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

বছর দুর্গাপূজায় ভারতে পাঠানো হবে পরিকল্পিত ইলিশের মাত্র অর্ধেক। পশ্চিমবঙ্গের পদ্মা নদীর ইলিশের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, বাজারে এইবার ইলিশের দাম চড়া হবে।

আনন্দবাজার ডটকমের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার শুরুতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে ঢাকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চলতি বছর ভারতে মাত্র ১২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের মাছপ্রেমী বাঙালির মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।

কলকাতার এক ব্যবসায়ী জানান, আমরা তিন হাজার টন ইলিশের প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু বাস্তবে দেওয়া হচ্ছে অনেক কম। এতে কলকাতার বাজারে দামে আগুন জ্বলবে।”

বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, সৌজন্য ও বিশেষ অনুরোধের প্রেক্ষিতে এক হাজার ২০০ মেট্রিকটন ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

জানা গেছে, জুনে বরিশাল বিভাগের ইলিশ শিকার গত বছরের তুলনায় সাত হাজার টন কমে গেছে এবং জুলাইয়ে ঘাটতি প্রায় ৩০ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ বাজারে জোগান কম থাকায় রপ্তানি সীমিত করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের দুর্গোৎসবে ইলিশ অপরিহার্য। বাজারে চাহিদা বাড়ায় দামও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তরের একটি টাস্কফোর্সের তথ্য অনুযায়ী, যদি বাংলাদেশ তিন হাজার টন ইলিশ পাঠাত, দাম এতটা বাড়ত না। ২০২৪ সালে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ১,৬০০–২,০০০ টাকায় বিক্রি হত; এবার সেই দামের কমপক্ষে আড়াই হাজার টাকায় উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

কলকাতার উপকূলীয় বাজারে জোগান কম থাকায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়া অঞ্চলের পাইকারি বাজারেও দাম বাড়ার চাপ লক্ষ্য করা গেছে। মৎস্যজীবী সংগঠনগুলোর মতে, বড় ইলিশের শিকার ৩৫–৪০ শতাংশ কমে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গুজরাত থেকে ইলিশ আনার চেষ্টা করছে, তবে পদ্মার ইলিশের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়।

এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে শারদ উৎসবের সময় ইলিশ রপ্তানি কূটনৈতিক বার্তার সঙ্গে যুক্ত ছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে সীমিত পরিমাণে রপ্তানি অনুমোদন দিয়েছে। ২০১৫–২০১৮ সালে জাতীয় রপ্তানি নীতিতে শর্তসাপেক্ষে ইলিশ রপ্তানি তালিকাভুক্ত ছিল, তবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিদেশে রপ্তানি বন্ধ ছিল।

ভারতে ইলিশ রপ্তানি এই বছর কম হলেও, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের উপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে সরকার।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G